মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, ২৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় আড়াই হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে এজাহারনামীয় ৩৩ জন নেতাকর্মী আছেন আর বাকিদের অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লিটন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান শিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব হাসান তপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন ও জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান মাসুদ। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার সংর্ঘষ চলাকালে সদর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক, ছাত্রদল নেতা সেলিম মোহাম্মদ ও রুবেল মাহমুদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির জাগো নিউজকে বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বের হওয়া শান্তিপূর্ণ র্যালিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অথচ বিরোধী দলকে দমানের জন্য সরকারের নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানাই।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির শহরের সেওতা এলাকা থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি খালপাড় এলাকায় পৌঁছালে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা আহত হন।
বি.এম খোরশেদ/এসজে/এমএস