কুমিল্লায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে নির্বাচন পরবর্তী দুইপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার পশ্চিম বাঙ্গরা ইউনিয়নের কুরুন্ডী গ্রামে প্রায় এ সংঘর্ষ চলে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- ইউনুস মিয়া (৪৫), দুলাল (৪৭), জামাল মিয়া (৩২), জজ মিয়া (৩০), মামুন মিয়া (২৫), সোহাগ (১৬) ও হাসান (১৯)। তারা মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর পশ্চিম বাঙ্গরা ইউনিয়ন পরিষদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন মো. সবুজ। হেরে যান সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম। এ নিয়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই নির্বাচনে যারা নুরুল ইসলামের পক্ষ নিয়েছেন তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আপস হবে না বলে ঘোষণা দেন নির্বাচিত মেম্বার সবুজের সমর্থরা।
এ নিয়ে শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে বর্তমান মেম্বার সবুজ ও সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পশ্চিম বাঙ্গরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার খান জাগো নিউজকে বলেন, গত নির্বাচনে দুই মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেওয়া, না দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। শুক্রবার রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই গ্রুপকে আমার কার্যালয়ে ডেকেছি। কিন্তু তারা কোনোপক্ষই আমার কথা না শুনে আজ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এমআরআর/জেআইএম