কক্সবাজার সৈকতে এলো জীবিত ডলফিন, পরে মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২

পানিতে চলার ক্ষমতা হারিয়ে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে একটি জীবিত ডলফিন। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ইনানীর পাটুয়ারটেকের অদূরে সৈকতে ডলফিনটি ভেসে আসে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান। বিকেলে ডকফিনটি সৈকতেই মারা যায়।

স্ত্রী ডলফিনটি লম্বায় ৫ ফুট ও বেড় ২ দশমিক ৬ ফুট। ওজন ২৮ কেজি। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের বিপরীতে গভীর সমুদ্রে ফেরত যেতে পারেনি।

এডিএম আবু সুফিয়ান বলেন, ‘স্থানীয়রা পাটুয়ারটেকেরে অদূরে সমুদ্রসৈকতে একটি ডলফিন দেখে খবর দেন। পরে সেখানে দায়িত্বরত বিচকর্মীদের পাঠানো হয়। তারা ডলফিনটি জীবিত দেখতে পেয়ে সাগরে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ডলফিনটি আবারও তীরে ফিরে আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডলফিনের পেট ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় আঘাতের মতো চিহ্ন দেখা যায় বলে বীচকর্মীরা জানান। হয়তো এ কারণে ডলফিনটি দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকী কিছু খাচ্ছিল না।’

বিষয়টি বনবিভাগ ও সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটকে জানানো হয়। তাদের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এটির পরিচর্যা শুরু করে। তবে শেষ পর্যন্ত ডলফিনটিকে আর বাঁচানো যায়নি।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, খবর পেয়ে দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফির কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ডলফিনটিকে পুনরায় সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড ঢেউয়ে এটি সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ভেটেরিনারি সার্জন ডলফিনটিকে মৃত ঘোষণা করলে ময়নাতদন্ত ও সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিয়ে আসা হয়। পরে এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ডলফিনটির গায়ে কোনো আঁচড় বা ক্ষত পাওয়া যায়নি, তবে ময়নাতদন্তের নমুনা সংগ্রহের সময় ফুসফুস এবং হৃদযন্ত্রে অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা গেছে।

ডলফিনটি ভবিষ্যতে গবেষণার কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কাছে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।