থানায় বিচারপ্রার্থীকে মারপিটের ঘটনায় ওসি বদলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:২২ এএম, ২৩ আগস্ট ২০২২

মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় বিচারপ্রার্থী এক ব্যক্তিকে মারপিটের ঘটনায় এএসআইয়ের পর জেলা থেকে প্রত্যাহার (শাস্তিমূলক বদলি) করা হলো ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়াকে। শিবালয় থানা থেকে তাকে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে ওসির বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

শনিবার (২০ আগস্ট) রাতে শিশু কন্যার ধর্ষণচেষ্টার বিচার চাইতে গিয়ে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো. আরিফ হোসেনের বেধড়ক মারপিটের শিকার হন এক বাবা। এ সময় ওসি থানায় ছিলেন না। ঘটনা জানার পর পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান জানান, কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার দায় পুরো পুলিশ বাহিনীর নয়। পুলিশের যে সদস্য অপরাধ করেছেন তার দায় ওই সদস্যকেই নিতে হবে।

থানার ভেতরে বিচার প্রার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সোমবার (২২ আগস্ট) এক আদেশে শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীনকে মানিকগঞ্জ জেলা থেকে প্রত্যাহার করে মাদারিপুর জেলায় সংযুক্তি করেছেন। একইসঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু মোহন্ত পুরো ঘটনার তদন্ত করছেন।

থানায় বিচারপ্রার্থীকে মারপিটের ঘটনায় ওসি বদলি

শিবালয় থানার ওসি মো. শাহীন জানান, ঘটনার সময় তিনি থানায় ছিলেন না। এসময় এএসআই আরিফ হোসেন একজনকে থানার ভেতরে মারধর করেন। এই ঘটনায় তাকে (ওসি) সোমবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ থেকে মাদারীপুর জেলায় বদলি করা হয়েছে। তিনি সোমবার সন্ধ্যার পর শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদের কাছে তার দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি শিবালয় উপজেলায় পঞ্চাশ বছরের এক ব্যক্তি ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্ট করে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেন গার্মেন্টকর্মী বাবা। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে শিশু কন্যা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান ওই বাবা। এ সময় ওসি থানায় না থাকলেও, ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফ হোসেন থানার একটি রুমে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন ওই বাবাকে। তার মা পুলিশের অন্য সদস্যদের হাত পা ধরে কান্নাকাটি করলেও আরিফের হাত থেকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।

পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার রাতেই এএসআই আরিফ হোসেনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করেন।

তবে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় মামলা হলেও এখনো অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।