‘বিতর্কিত সিদ্ধান্ত’ বাতিল দাবি, ফের আন্দোলনে চা-শ্রমিকরা
প্রশাসনের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের চুক্তিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যায়িত করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন সাধারণ চা-শ্রমিকরা। মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণ করার দাবিতে সোমবার (২২ আগস্ট) বাগানে বাগানে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
শ্রমিকরা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের লুয়াইউনি চা-বাগানের সামনে চার ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তারা।
রোববার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চা-শ্রমিক নেতা ও প্রশাসন এক বৈঠকে মিলিত হয়। সেখানে আগের মজুরিতে (১২০ টাকা) কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়। চা-শ্রমিকরাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। কিন্তু সাধারণ চা-শ্রমিকরা এ চুক্তি বা সিদ্ধান্তকে ‘বির্তকিত’ আখ্যায়িত করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পযর্ন্ত কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। চারটি বাগানের শ্রমিকরা জমায়েত হয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ বলেন, শ্রমিক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে চা-শ্রমিকদের বোকা বানাচ্ছেন।
লুয়াইউনি চা-বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি অজিত কৈরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘দরকার হলে আমরা না খেয়ে থাকবো। যতদিন আমাদের দাবি পূরণ না হয়, ততদিন আমরা চা-বাগানের কাজে যোগ দেবো না।’
আন্দোলনরত নারী চা-শ্রমিক স্বপনা কৈরী বলেন, ‘আমাদের দুঃখ কেউ বোঝে না। আমরা বিতর্কিত চুক্তি বাতিল চাই।’
লুয়াইউনি চা-বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় কৈরি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিতর্কিত চুক্তি বাতিল না করলে আগামীকাল থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।’
আব্দুল আজিজ/এসআর/এমএস