কক্সবাজারে ট্রলারডুবি: দুদিনে সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৮:২৪ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২
ফাইল ছবি

 

বৈরী আবহাওয়ায় কূলে ফিরতে গিয়ে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের কাছে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও পাঁচ জেলের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মধ্যে দুদিনে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ ও নিহতরা সবাই খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের জেলে।

রোববার (২১ আগস্ট) কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নিখোঁজ আটজনের মধ্যে গত শনিবার দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে তিনজন এবং বিকেলে আরও দুজনের মরদেহ কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় উদ্ধার করে স্থানীয় জেলে ও তাদের স্বজনরা। এই নিয়ে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের নাজির হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), ছৈয়দ নুরের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৫), খুরুশকুলের পূর্ব হামজার ডেইলের মৃত মো. সুলতানের ছেলে হোসেন আহমদ (৪২), খুরুশকুলের মামুনপাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক (৩২) ও হামজার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে মো. আবছার (২২)। এর আগে শনিবার বিকেলে তৈয়ব ও সাইফুল নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের কাছে এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি ডুবে যায়। গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকুলের জাকির হোসাইনের মালিকানাধীন এ ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। পরে ফেরার সময় ট্রলারটির দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও অন্য জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে আটজনকে উদ্ধার করলেও ১১ জন নিখোঁজ ছিল। পরে শুক্রবার রাতে আরও তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এরপর নিখোঁজ থাকেন আটজন।

পরিদর্শক সেলিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরে স্থানীয় জেলেরা তিনটি মরদেহ ভাসতে দেখে। তারা অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ট্রলারে তুলে নেয়। পরে স্বজনরা দেহগুলো শনাক্ত করার পর খুরুশকুলে বাড়িতে নিয়ে যায়। বিকেলে আরও দুইজনের মরদেহ একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। তার আগে শনিবার বিকেলে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতের স্বজনরা মরদেহের ময়নাতদন্ত না করতে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন। বিনা ময়নাতদন্তে দেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

সায়ীদ আলমগীর/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।