বিএম কলেজে বিক্ষোভ-ভাঙচুর : পুলিশের লাঠিচার্জ
বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) ছাত্রলীগ নেতা ও মেয়াদোর্ত্তীণ ছাত্র কর্মপরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করার প্রতিবাদে তার সমর্থকরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা ছাত্র সংসদ ভবনের তালা ভাঙতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রায় আধাঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে তার সমর্থকরা রাতেই ক্যাম্পাসে দফায় দফায় প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সকাল থেকে আবার বিক্ষোভ করতে থাকে মুন্নার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা কলেজের প্রশাসনিক ভবনের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অধ্যক্ষর কার্যালয়ের বিদুৎ লাইটগুলো ভাঙচুর করে। সেখান থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভকারীরা মৃত্তিকা, বাণিজ্য ও সমাজবিজ্ঞান ভবনের দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। বিক্ষোভকারীরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র সংসদ ভবনের তালা ভাঙতে গেলে পুলিশ সেখানে লাঠিচার্জ করে।
এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের প্রায় আধাঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজ অধ্যক্ষ ইনামুল হাকিম বলেন, ফয়সাল আহম্মেদ মুন্না আশঙ্কামুক্ত। কলেজের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বিকেলে কলেজ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা আহ্বান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কলেজ সলংগ্ন বৈদ্যপাড়ায় মুন্নাকে কুপিয়ে জখম করার পর সুনীল বাড়ৈ নামে মাস্টার্সের এক ছাত্রকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হয়। গুরুতর আহতবস্থায় মুন্না বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার ঘাড়ের ওপর কোপ দেওয়া হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি