প্রাইভেটকারে গার্ডার
জামালপুরে পারিবারিক কবরস্থানে ৪ জনের মরদেহ দাফন
রাজধানী উত্তরায় প্রাইভেটকারে গার্ডার পড়ে প্রাণ হারানো চারজনের মরদেহ জামালপুরে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দিনগত রাতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এদের মধ্যে দুই সন্তানসহ ঝর্ণা বেগমের মরদেহ মেলান্দহ উপজেলার আগপয়লা গ্রামে ও ফাহিমার মরদেহ ইসলামপুর উপজেলার ঢেংড়াগড়ে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শেষে পরিবারের কাছে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে জনের রুবেলকে মেহেরপুর এবং বাকি চারজনকে জামালপুরে পাঠানো হয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে ঝর্ণা, তার দুই সন্তান জান্নাতুন ও জাকারিয়াকে মেলান্দহের আগপয়লা গ্রামে এবং ফাহিমাকে ইসলামপুরের ঢেংড়াগড়ে আনা হয়। এ সময় শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, রাতেই তাদের মরদেহ বাড়িতে আসে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।
১৩ আগস্ট বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। বিয়ের বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৮), তার খালা ঝর্ণা (২৭) ও তার দুই সন্তান জান্নাতুন (৬) ও জাকারিয়া (৪)। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় পৌঁছালে উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবাই মারা যান।
মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/এমএস