চাঁদাবাজির মামলায় সুনামগঞ্জে শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সেলিম আহমদকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) ভোরে শহরের হাসননগরের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে বিকেলে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেলিমকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। একইসঙ্গে সেলিমের পক্ষেও জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। বিচারক বুধবার রিমান্ড ও জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
পুলিশ জানায়, গত ১২ আগস্ট সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় হত্যাচেষ্টা এবং চাঁদাবাজির মামলা করেন। মামলায় সেলিম আহমদের চাচাতো ভাই তারেক আহমদ, মোর্শেদ আলম, তানভির আহমদ, সোহাগ, লতিফ, পলাশ, আব্দুল হকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অলিউর রহমান উল্লেখ করেন, ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে দুটি স্পিডবোটে ১৪-১৫ জনের সংঘবদ্ধ দল গত বুধবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টায় তাহিরপুরের সংসার হাওরের জেটি থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তিনিসহ তিনজনকে অপহরণ করেন। সারারাত নির্যাতনের পর সাদা কাগজে তাদের সই নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১২ আগস্ট তিনি মামলা করেন।
ওই মামলায় মঙ্গলবার ভোরে সেলিম আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
কোর্ট ইন্সপেক্টর বোরহান উদ্দিন জানান, পুলিশ সেলিম আহমদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায়। সেলিমের আইনজীবীরাও তার জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে, সেলিমের বড় ভাই ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তার ভাইকে মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লিপসন আহমেদ/এমআরআর/জেআইএম