আদালতে জবানবন্দি ৪৮০ টাকার লোভে বন্ধুকে হত্যা
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামে ঝালমুড়ি বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন ওরফে ঘুটু (১৪) নামের কিশোরের ময়নাতদন্ত মঙ্গলবার দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
অপরদিকে হত্যার দায় স্বীকার করে আটক তিন কিশোর ১৬৪ ধারায় আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নীলফামারীর জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল ইসলামের আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। এসময় আদালত তাদের কিশোর সংশোধনী কেন্দ্র পুলের হাট যশোরে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলওয়ার হাসান ইনাম ও নীলফামারী আদালত পুলিশের পরিদর্শক সুকুমার মোহন্ত।
সূত্র মতে, গ্রেফতারকৃত তিন শিশু একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৪), হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৪) ও ৬আইয়ুব খানের ছেলে টিটু (১৩)। তারা কিভাবে তাদের বন্ধু ঝালমুড়ি বিক্রেতা সাহাব উদ্দিন ওরফে ঘুটুকে হত্যা করেছে বিস্তারিতভাবে আদালতের কাছে তুলে ধরে। তবে হত্যার কারণ সর্ম্পকে আদালতে কিছু বলেনি।
উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামে ৪৮০ টাকার জন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাদশা মামুদের ছেলে সাহাব উদ্দিন (১৪)।
সোমবার দুপুরের পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উক্ত তিন কিশোরকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় হত্যার শিকার সাহাব উদ্দিনের বাবা বাদশা মামুদ বাদী হয়ে ওই তিন শিশুকে আসামি করে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে বলে, সাহাব উদ্দিন তার বাবার ঝালমুড়ির দোকানে বসে ৪৮০ টাকা গণনার সময় তারা দেখেছিল। সে বাড়ি ফেরার সময় ওই টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য তারা তাকে পরিকল্পিতভাবে বিড়ি খাওয়ার কথা বলে ভূট্টা খেতে নিয়ে গলা টিপে হত্যা করে।
জাহেদুল ইসলাম/ এমএএস