লঞ্চ-বাল্কহেড সংঘর্ষ
৪ দিন পর নিখোঁজ সুকানির মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষে নিখোঁজের চারদিন পর সুকানি মিলন হাওলাদারের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি এলাকা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তলদেশে বাল্কহেডের মধ্য থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এরআগে দুর্ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে নদী থেকে বাল্কহেডের নিখোঁজ শ্রমিক মো. কালামের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুকানি মিলন হাওলাদার ও শ্রমিক মো. কালামের বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার এলাকায়।
বালুবোঝাই বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার রাতে কল করলে বাল্কহেডের সুকানি মিলন ও শ্রমিক কালামের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরদিন বেলা ১১টার দিকে কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সুকানি মিলনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, সোমবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে লঞ্চের কোনো যাত্রী হতাহত না হলেও বাল্কহেড ডুবে যায়। এরপর থেকে সুকানি মিলন ও শ্রমিক কালাম নিখোঁজ ছিলেন।
অন্যদিকে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের তলায় ছিদ্র হয়ে পানি উঠতে শুরু করে। এরপর উজিরপুরের চৌধুরীর হাট ঘাটে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়। পরে দুই শতাধিক যাত্রী নেমে বিকল্প পথে গন্তব্যে চলে যান। মঙ্গলবার ভোরের দিকে লঞ্চটির মেরামত সম্পন্ন হয়। এরপর বাকি দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ওসি মাসুদ আলম আরও বলেন, মিলনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি নদীর তলদেশে বাল্কহেডটির সন্ধান পাওয়া গেছে। বাল্কহেডটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সাইফ আমীন/এসআর/এএসএম