মৃত্যুদণ্ড ঘোষণায় নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ওবায়দুল হক (তাহের) ও আতাউর রহমানের (ননী) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর নেত্রকোনায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পরপরই নেত্রকোনা শহরের মোক্তারাপাড়াস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা ও নিহতের পরিবারবর্গ ও শহরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান এবং কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত শহীদ বদিউল আলম মুক্তার ভাতিজা ও মামলার বাদী আলী রেজা কাঞ্চন জাগো নিউজকে জানান, রায়ে আমরা খুশি হয়েছি, রায় যতদিন কার্যকর না হয় ,ততক্ষণ আমাদের স্বস্তি নেই। মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই এই মামলার সাক্ষীসহ আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় এবং আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিধান করা হয়।
মামলার রায়ের পর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, রায় ঘোষণার পর থেকেই কি যে আনন্দ আমাদের মনে উপলব্ধি হচ্ছে তা বুঝাতে পারব না। এ রায় এর মাধ্যমে এটাই প্রামাণিত হয়েছে, যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার একটি মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকার। এসময় তারা রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নূরুল আমিন জাগো নিউজকে জানান, এ রায় ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উল্লাস করেছেন। জেলার সকল যুদ্ধাপরাধ মামলার যত অভিযুক্ত রয়েছেন তাদের সকলকেই যেন ট্রাইব্যুনাল দ্রুত বিচার শেষ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় নিশ্চিত করে।
কামাল হোসাইন/এআরএ/এমএস