শত্রুর বিষে মরলো আ’লীগ নেতার সাড়ে ১০ লাখ টাকার মাছ
অডিও শুনুন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলামের তিন ঘেরে পর পর তিন দিনে শত্রুর দেওয়া বিষে সাড়ে ১০ লাখ টাকার মাছের পোনা মারা গেছে৷
বুধবার ( ১০ আগস্ট) ইউনিয়নের ব্রজবাকসা উত্তর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিষ প্রয়োগ করা তিনটি পুকুরের মধ্যে সর্বশেষ শফিকুল ইসলামের বাড়ির পেছনের দেড় বিঘার ৬০ হাজার পিছ পাঙ্গাশ ও ২০ হাজার তেলাপিয়া ও রুইয়ের স্টক নার্সারি পুকুরে মাছ মরে ভেসে আছে। এছাড়া ৮০ শতাংশ মাছ মরে পানির নিচে তলিয়ে গেছে৷ এলাকার নারী পুরুষ ও শিশুরা পুকুরে নেমে বড় মাছ গুলো সংগ্রহ করছে৷
৫ ও ৯ আগস্টও নিজ বাড়ির পেছনের পুকুরে শত্রুরা বিষ প্রয়োগ করে বলে জানিয়েছেন মাছচাষি শফিকুল ইসলাম৷
হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছচাষি শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ৩০ বছর যাবত চারা পোনা মাছের চাষ করে আসছি। গত ৯ বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কলারোয়া উপজেলার ৯ নম্বর হেলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি৷ ব্যবসায়ী জীবনে গত ৬ মাস আগে উত্তর দিগং গ্রামে ১০০ বিঘা ঘেরে একদল কুচক্রী মহল বিষ প্রয়োগ করেছিল। এ ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করি।
পরে পুলিশ দিগং গ্রামের সাইম দফাদারের ছেলে গোলাম হোসেন ও ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। সেই মামলাটি চলমান রয়েছে৷ এখন আবার কে বা কারা আমার সর্বস্ব ধ্বংস করতে পর পর তিন দিনে তিনটা ঘেরের সাড়ে দশ লাখ টাকার পোনা মাছ মেরে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে৷
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জাগো নিউজকে বলেন, ৬ মাস আগে শফিকুল ইসলামের একটি ঘেরে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছিল। যে মামলাটি চলমান রয়েছে৷ আবারও তার তিনটি পুকুরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করাই মাছ মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়৷ বিষয়টির তদন্ত চলছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এফএ/জেআইএম