সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চ-বাল্কহেড সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০২:৪১ এএম, ০৯ আগস্ট ২০২২
লঞ্চটি উজিরপুরের চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়েছে

অডিও শুনুন

বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও বালু বোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নদীতে ডুবে গেছে বাল্কহেডটি। ফলে বাল্কহেডের মাস্টার ও তার সহযোগী নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চের কোনো যাত্রী হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সোমবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বানরীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজরা হলেন, মাস্টার মো. কালাম ও তার সহযোগী মো. মিলন। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের নান্দুহার এলাকায়।

jagonews24

লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, পিরোজপুরের হুলারহাট থেকে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশ্যে মর্নিংসান-৯ লঞ্চটি ছাড়ে। এতে যাত্রী ছিল পাঁচ শতাধিক। সন্ধ্যা নদীতে বালু বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে লঞ্চটির। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ধাক্কা লাগার কারণে লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। পরে লঞ্চটিকে উজিরপুর উপজেলার চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়। অন্যদিকে ধাক্কা লাগার কিছু সময়ের মধ্যে বাল্কহেডটি তলিয়ে যায়।

বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী মুঠোফোনে জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্টার কালাম ও তার সহযোগী মিলনের মোবাইলে একাধিকবার কল করেছেন। কিন্তু দুটি ফোনই বন্ধ পাওয়া গেছে।

jagonews24

ঘটনাস্থলে থাকা উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন যাত্রীদের। বিকল্পভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে সহায়তা করছেন।

এরই মধ্যে ৩০০ যাত্রী বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। বাকি যাত্রীরা (রাত ১২টা পর্যন্ত) লঞ্চে অবস্থান করছেন। নিরাপদে তারা যেন গন্তব্যে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চটিকে ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে লঞ্চ।

এদিকে নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে ট্রলার নিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নদীতে টহল দিচ্ছেন। তাদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানান উজিরপুর থানার পরিদর্শক।

সাইফ আমীন/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।