বাসাবাড়ির প্লাস্টিক বর্জ্য কিনবে নাসিক
এখন থেকে ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য বিক্রির জন্য ভাঙারি দোকানদার খুঁজতে হবে না নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। এই বর্জ্য ধরন ভেদে আট থেকে ১২ টাকা কেজি দরে নাসিকের পরিচ্ছন্নকর্মীরা কিনে নিয়ে যাবেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকালে ওই ওয়ার্ড কার্যালয়ের পাশে স্থাপিত পলিথিন কালেকশন পয়েন্ট-৩ এ প্লাস্টিক বর্জ্য সংরক্ষণের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনসহ সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা পাশের কয়েকটি বাড়িতেও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এই প্রকল্পের পাইলট পর্যায়ে ১২নং ওয়ার্ডকে নির্ধারণ করেছেন। যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার, ইউনিলিভারের সিইও, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিইওসহ ঊর্ধ্বতনরা প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রকল্পটি নভেম্বর থেকে চালু হয়েছে অর্থাৎ মাত্র সাত-আট মাসে প্রায় আট টন প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা দেখে তারা অনেক অবাকও হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কোনো বাসাবাড়িতে প্লাস্টিক ও পলিথিন সামগ্রী জমিয়ে আমাদের খবর দিলে আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীরা গিয়ে সেগুলো কিনে নিয়ে আসবে। পলিথিন কালেকশন পয়েন্ট-৩ এর আওতায় মোট ক্লিনিং সার্ভিস সংস্থা রয়েছে দুটি। মোট সংগ্রহকারী রয়েছেন ৩৯ জন যাদের মধ্যে বর্জ্য সংগ্রহকারী ২৪ জন এবং স্ট্রিট ক্লিনার ১৫ জন। তারা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে ও সড়ক থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করবে।
এদিকে, দুপুরে শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারের পরীক্ষণ হলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশগ্রহণ করেন রবার্ট চ্যাটারটন।
সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমি শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দেখেছিলাম ঘর থেকেই তিনটি আলাদা বিনে কীভাবে বর্জ্য সংরক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে তাদের প্লাস্টিক, কাচ এবং কাগজ কিনে নেওয়া হয়। ওই ভিজিটের পর আমি আমার নারায়ণগঞ্জের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাজটি শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রকল্পটি বেশিদিন চালাতে পারিনি। অর্থ সংকটসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমি অনুরোধ করবো আপনারা যদি এই প্রজেক্টটি কনটিনিউ করেন, তাহলে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই প্রজেক্টটি যেন কনটিনিউ করা হয়। তবে এটা যেন পরিবেশের কোনো ক্ষতির কারণ না হয়।
এসময় ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আখতার, হেড অব করপোরেশন শামীমা আখতার, ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্ট ভ্যান এন গুয়েন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমআরআর