বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া মেলে নওগাঁর ‘মোসাফির খানায়’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২২

১১৪ বছর ধরে চলছে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ‘মোসাফির খানা’। দূর-দূরান্ত থেকে আসা মানুষ বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে রাত্রিযাপন করেছেন হাজার হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, ১৯০৮ সালে তৎকালীন জমিদার খাদেম মোহাম্মদ শাহ উপজেলার পোরশা গ্রামের মিনা বাজারে মাটির ঘর তৈরি করে মুসাফিরদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে ঘরটির নাম দেন ‘মোসাফির খানা’। খরচ বহনের জন্য এ ‘মোসাফির খানার’ নামে লিখে দেন ৮০ বিঘা জমি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও এ ‘মোসাফির খানায়’ এখনো মানুষের আনাগোনা দেখা যায়।

Naogaon-(3)

১৯৮৮ সালে মোসাফির খানা দ্বিতল ভবন তৈরি করা হয়। ভবনে থাকার উপযোগী ১৬টি কক্ষ রয়েছে। একসঙ্গে ৫০-৬০ জন থাকতে পারবেন এখানে। মোসাফির খানার উত্তরপাশে রয়েছে বিশাল পুকুর ও সান বাঁধানো ঘাট।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একজন মুসাফির এখানে তিনদিন থাকতে পারবেন। দুপুর ও রাত দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। দুপুরের খাবারের জন্য সকাল ৯টা ও রাতের খাবারের জন্য বিকেল ৪টায় জানাতে হয়। আর এখানে থাকতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

এখানে প্রতি বুধবার দুপুরে অসহায়দের একবেলা খাবার দেওয়া হয়। যেখানে ৪০-৫০ জন খাবার খেয়ে থাকেন। সবচেয়ে বেশি মানুষ হয় রমজানে মাসে। রমজানের ২০-২৯ তারিখ চলে ইফতার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা। প্রতিদিন ২০০-৩০০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়

Naogaon-(3)

স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে এখনো মোসাফিররা আসেন। তাদের জন্য বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের আর কোথাও এমন মোসাফির খানা আছে কিনা আমার জানা নেই।

মোসাফির খানার ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখানে ২৫ বছর ধরে চাকরি করছি। মোসাফির খানার আয় থেকে খরচ বহন করা হয়। এছাড়া স্থানীয়রাও সহযোগিতা করে থাকেন।

আব্বাস আলী/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।