আনন্দ নিমিষে বিষাদে পরিণত
কোচিং সেন্টারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে ঝরনায় গা ভিজিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ছাত্র-শিক্ষকরা। খৈয়াছরা ঝরনার গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে আন্দন করে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। এর মাত্র পাঁচ মিনিট পরে আনন্দ বিষাদে রূপ নেয়। চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বারতাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান। হাসপাতালে আশঙ্কাজনক আরও পাঁচজন।
আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন সকাল ৮টায় হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে কোচিং সেন্টারের চারজন শিক্ষকও রয়েছেন।
আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী জাহেদ কাউসার বলে, ‘আমান বাজার এলাকার যুগিরহাটে আমাদের কোচিং সেন্টারটি অবস্থিত। কোচিং সেন্টারের ১৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী খৈয়াছড়া ঝরনাসহ মিরসরাইয়ের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র দেখতে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলেছিলাম। এরমধ্যে চারজন শিক্ষক ছিলেন। তারা হলেন জিসান, রিদুয়ান, সজিব ও রাকিব। বাকিরা শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছয়জন এসএসসি পরীক্ষার্থী, বাকি তিনজন একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একজন মাইক্রোবাসের চালক। তবে অপরজনের পরিচয় আমার জানা নেই।’
জাহেদ আরও জানান, পিকনিকে তারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ তার একটি ফুটবল ম্যাচ থাকায় যাওয়া হয়নি।
এদিকে, নিহতদের মধ্যে চারজনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন হাটহাজারী উপজেলার জিয়াউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী ও আমান বাজার এলাকার শিকারপুর মোশাররফ আলী বাড়ির মো. মহিউদ্দিন মনসুরের ছেলে মো. মাহিন (১৮), একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে তানভীর হাসান (১৮), একই এলাকার জুনায়েদ হোসেন (১৮) ও মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৮)। তিনি হাটহাজারীর চিকনদন্ডী ইউনিয়নের সাব রেজিস্ট্রার বাড়ির হাজী মো. ইউসুফ আলীর ছেলে।
এসআর/এএসএম