কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে স্কুলের আসবাবপত্র বিক্রির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৫:১৬ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২২

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পুরুরা সাধুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবনের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

স্কুল কমিটির সভাপতি ইদ্রিস মোল্যা ও পিকুল হোসেন নামে স্কুলটির এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির পুরাতন ভবনের ২৬ জোড়া বেঞ্চ, ২৫টি টিন, দুটি দোলনা, বেশ কিছু লোহার অ্যাঙ্গেল ( মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা) কোনো টেন্ডার কিংবা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গত ১৯ জুলাই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। পরে শনিবার (২৩ জুলাই) স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস মোল্যা, শিক্ষক এবং স্থানীয় লোকজন ডেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

jagonews24

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পিকুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিক্রির ঘটনা সঠিক। তবে আমি একা বিক্রি করিনি। স্কুল কমিটির সভাপতি, কমিটির অন্য সদস্যরা বসে রেজুলেশন করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আমি ওইদিন বিদ্যালয়ে ছিলাম না। জরুরি মিটিংয়ে বিদ্যালয়ের বাইরে ছিলাম। এ বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে না জানিয়ে করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস মোল্যা জাগো নিউজকে বলেন, স্কুলে সবাইকে নিয়ে বসে রেজুলেশন করে আসবাবপত্রগুলো ও অন্যান্য মালপত্র বিক্রি করা হয়েছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি, স্কুলের শিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। পরে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নিয়ামত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। মালপত্র বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে।

jagonews24

এ প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. তাসলিমা আকতার জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।