মাগুরায় ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে প্রাণ গেলো কিশোরের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৪:০০ এএম, ২৪ জুলাই ২০২২
নিহত হাসিবুর রহমান

মাগুরার মহম্মদপুরে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরঝামা গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত হাসিবুর রহমান (১৭) চরঝামা গ্রামের আবু সাইদ শেখের ছেলে ও ঝামা মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে প্রতিদিনের মতো চরঝামা স্কুল মাঠে স্থানীয় শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিল। এসময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

নিহত কিশোরের চাাচতো ভাই মো. বাচ্চু মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। এছাড়াও ওই গ্রামের ইউসুফ মিয়ার সঙ্গে আমাদের পূর্বশত্রুতা ছিল। ফুটবল খেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা হাসিবুরের বুকে বর্ষা দিয়ে আঘাত করে। এতে মারাত্মকভাবে জখম হয় সে। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম শুভ জাগো নিউজকে বলেন, হাসিবুরকে রাত ৮টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার বুকের বামপাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ আমাদের অধীনে আছে। মহম্মদপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যদি তারা মরদেহ নিতে চায় তাহলে দিয়ে দেওয়া হবে। আর না নিতে চাইলে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরামুল হোসেন বলেন, চরঝামা গ্রামটি মহম্মদপুর থানার অধীনে হলেও এলাকাটি দুর্গম। মধুমতী নদীর ওপারে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার স্থলভূমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এন কে বি নয়ন/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।