ইউএনও ওয়াহিদা হত্যাচেষ্টার রায় ৩ মাসের মধ্যে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০২:৩১ এএম, ১৮ জুলাই ২০২২
ওয়াহিদা খানম

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলার বিচারকাজ আগামী তিনমাসের মধ্যে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

রোববার (১৭ জুলাই) জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলায় ঘোড়াঘাট থানার তৎকালীন দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক একেএম মঈনউদ্দিন সিদ্দিকী এ কথা জানান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ইকবাল রায়হান সোহেল জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, আগামী তিনমাসের মধ্যে এ মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন করতে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা রয়েছে বলে বিচারক জানিয়েছেন। আগামী ২৪ জুলাই এ মামলার দুজন সাক্ষী তৎকালীন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম জাফর ও এসআই সাইফুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

দিনাজপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, রোববার এ মামলায় দুজন সাক্ষী ঘোড়াঘাট থানার তৎকালীন ওসি আমিরুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম প্রায় শেষ দিকে। এখন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সাবেক ওসি ইমাম জাফর ও এসআই সাইফুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিলেই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এরপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য হবে। সব মিলিয়ে খুব বেশি সময় লাগবে না।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এই মামলার ৬১ জন সাক্ষী রাখা হয়েছিল। সবারই স্বাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। এখন মামলার বাকী দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ হলেই মামলা ৩৪২ ধারায় আসামী পরীক্ষা এবং যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করবেন বিচারক।

২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের বরখাস্তকৃত মালি রবিউল ইসলাম (৩৫) তৎকালীন ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে তাকে ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও পরে এয়ার অ্যাম্বলেন্সে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদার ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ও মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলা ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ১১ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত মালি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে।

ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রবিউল। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন ডিবির ওসি ইমাম জাফর।

এমদাদুল হক মিলন/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।