এএসআইয়ের বাসা থেকে উদ্ধার হলো ছিনতাইয়ের ৪০ ভরি স্বর্ণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ১৪ জুলাই ২০২২
ফাইল ছবি

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীর ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে ভাঙ্গা থানার এক পুলিশ সদস্যসহ দুজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল হোসেন ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান মৃদুল মুন্সীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গ্রেফতার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল হোসেন (৩৫) ঢাকা জেলার ধামরাই থানার গাংগুটিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। অন্যজন ভাঙ্গা পৌরসভার হোগলাডাঙ্গী সদরদীর মিজানুর রহমান মুন্সির ছেলে মেহেদী হাসান মৃদুল মুন্সী (২৪)।

বুধবার (১৩ জুলাই) ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বুধবার সকালে পাপ্পু বিশ্বাস নামের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ভাঙ্গা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে দুপুরে প্রধান আসামি সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল স্বীকারোক্তি দেন। পরে পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদীর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া চারটি স্বর্ণের বারসহ মোট ৪০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৭ জুলাই রাতে ভাঙ্গা পৌরসদরের বাজারের স্বর্ণকারপট্টির পলাশ বণিকের সোনারতরী জুয়েলার্স থেকে কয়েকটি স্বর্ণের বার কেনেন নড়াইলের লোহাগড়ার পাপ্পু বিশ্বাস নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১২টায় একটি ভ্যানগাড়িতে পাপ্পু ও তার বন্ধু বিজয় লোহাগড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।

স্বর্ণপট্টি পার হতেই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল ও তার সহযোগী তাদের গতিরোধ করেন। এ সময় চোরাই স্বর্ণ পাচার করছেন, এমন অভিযোগ তুলে পাপ্পুকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখান এএসআই বাবুল। পরে তার পকেটে থাকা মোট ১১টি স্বর্ণের বারের মধ্যে চারটি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেন এএসআই। এ সময় তাদের চুপচাপ চলে যেতে বলেন তারা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের বারগুলোর ওজন প্রায় ৪০ ভরি, যার বাজার মূল্য ২৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক মিরুসহ ব্যবসায়ীরা এ চক্রের মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুন্তাছীর মারুফ জাগো নিউজকে জানান, তাদের ফরিদপুর আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। এএসআই বাবুল হোসেন ও তার সোর্স মেহেদী হাসানকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এএসআই বাবুল হোসেনের বাসা থেকে ৪০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত হচ্ছে।

এন কে বি নয়ন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।