শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি, বাড়ছে সেচের আওতা


প্রকাশিত: ০৯:৩১ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

তিস্তা নদীতে উজান থেকে ঢল নেমেছে। শুকিয়ে থাকা তিস্তায় হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নব যৌবনে ফিরে আসছে তিস্তা নদী। নদীজুড়ে চলছে স্রোতধারা। সংশ্লিষ্টরা বৃহস্পতিবার জানান, গত ৭দিন ধরে দুই হাজার কিউসেকের উপরে পানি প্রবাহ চলছে তিস্তা নদীতে।

শুস্ক মৌসুমে এ ধরনের পানি প্রবাহ থাকলে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় ২৫ হাজার হেক্টর জমি সেচ পেয়েছে।

"
সূত্র মতে, গত বছর নদীতে পানি স্বল্পতার কারণে ৮ হাজার হেক্টর জমির বোরো ক্ষেতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়েছিল। চলতি শুষ্ক মৌসুমে গত দুই মাস ধরে নদীর পানির প্রবাহ চলে আসছিল ৫০০ থেকে ৬০০ কিউসেক। ফলে চলতি খরিপ-১ মৌসুমে মাত্র ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে গত ৫ জানুয়ারি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সেচ কার্যাক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

বর্তমানে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচ এলাকা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, নীলফামারী সদর, সৈয়দপুর, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত সেচ ক্যানেলে পানি সরবরাহ করছে।

"
সূত্র মতে, উজান থেকে যে পানি আসছে তা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট বন্ধ রেখে সেচ ক্যানেলে নদীর পানি প্রবেশ করানো হচ্ছে।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি কারণে রংপুরের গঙ্গাচড়া ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

"
তিনি জানান, এবার খরিপ-১ মৌসুমে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পানি বৃদ্ধির কারণে সেচ দেয়া যায় ২৫ হাজার হেক্টরে। উজানের পানি বৃদ্ধি ও প্রাপ্তিতা ভালো হলে চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া সম্ভব হবে।

জাহেদুল ইসলাম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।