ট্রলারডুবি : নিখোঁজদের অপেক্ষায় ঘটনাস্থলে এখনো স্বজনরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁদপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনায় যাত্রীবাহী মর্মান্তিক ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে বুধবার দিনব্যাপী নৌ-বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসে ডুবুরি দল নিস্ফল অভিযান চালায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো লাশ বা ট্রলার উদ্ধার করতে পারেনি তারা। স্বজনদের ধারণা নিখোঁজ ২০ যাত্রীর সলিল সমাধি হয়েছে। তবে এখনও তাদের অভিযান স্থগিত করেনি। এদিকে নদীর পাড়ে স্বজনদের আহজারিতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

গত মঙ্গলবার হাইমচরের তেলির মোড় থেকে ঈশালবালা যাওয়ার সময় মেঘনায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ৫০/৬০ জনের যাত্রীবাহী রবিন-১ ট্রলার ডুবে যায়। এতে ৩৫ থেকে ৪০ জন যাত্রী বিভিন্ন তীরে উঠতে পারলেও বাকী ২০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জন নিখোঁজ যাত্রীর পরিচয় মিলেছে।
 
এ সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস হাইমচর স্টেশন লিডার এসএম শামিম জাগো নিউজকে জানান, ফায়ার সার্ভিস এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে জাহাজের সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করেছে। কিন্তু ট্রলারের ও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

tolar-dobi-uddar
তিনি আরো জানান, ঢাকা-বরিশালের এটি প্রধান নৌ-চলাচলের রুট। এ রুটে স্রোত খুব বেশি। যার জন্য ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজদের লাশ ঘটনাস্থলে পাওয়া নাও যেতে পারে। অনেক দূরে হয়তোবা আজ-কালের মধ্যে ভেসে উঠবে। আর ডুবন্ত ট্রলারটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
 
অপর দিকে নিখোঁজদের স্বজনরা কাক ডাকা ভোর হতে মেঘনা তেলির মোড় হতে চরভৈরবী জালিয়ার চর পর্যন্ত নদীর পাড়ে তাদের স্বজনদের খোঁজ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে নদীতে তাদের স্বজনদের খুঁজছে।

এদিকে চরভাঙ্গা গ্রামের দাদন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, তার বোন, ভাগিনা ও ভাগ্নি মর্মান্তিক ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ রয়েছেন। নদীর পাড়ে নিখোঁজদের পাগলের মতো হয়ে খোঁজছেন তারা। চরভৈরবীর জামাল বেপারি জাগো নিউজকে জানান, তার একমাত্র ছেলে ফাহিম (৩) ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে।

ইকরাম চৌধুরী/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।