১৫ মণের ‘রাজাবাবু’কে কিনলে একটি কাঠের চেয়ার ফ্রি
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে একটি বিশালাকৃতির ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের পুরাসুন্দা গ্রামের ফার্নিচার ব্যবসায়ী সারাজ মিয়া। আদর করে ষাঁড়টির নাম রেখেছেন ‘রাজাবাবু’।
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়ে ওঠা ‘রাজাবাবু’র ওজন ৬০০ কেজি (১৫ মণ)। এর দৈর্ঘ্য ৫৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ৫৬ ইঞ্চি। খয়েরি রঙের আকর্ষণীয় ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
আট মাস আগে দেড় লাখ টাকা দিয়ে শাহিয়াল জাতের ষাঁড়টি কিনে পরিচর্যা শুরু করেন খামারি সারাজি মিয়া। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে রাজাবাবুকে।
ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এদের মধ্যে অনেক ক্রেতাও রয়েছেন।
গরুর মালিক সারাজ মিয়া বলেন, পরম মমতায় আট মাস ধরে ষাঁড়টি যত্ন সহকারে লালনপালন করে আসছি। শুধু দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করেছি। আদর করে এর নাম দিয়েছি ‘রাজাবাবু’।
প্রতিদিন প্রায় ২০ কেজি কাঁচা ঘাস, ১০ কেজি আটা, ৪ কেজি ভুসি, ২ কেজি খৈল খায় রাজাবাবু। শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দিনে দু-তিনবার গোসল করানো হয়। পাশাপাশি পশুচিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিচর্যা চলে।
সারাজ মিয়ার খামারে বিভিন্ন জাতের ১৫টি গরু রয়েছে। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১০টি গরু। তবে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে ‘রাজাবাবু’ নামের ষাঁড়টি।
যিনি রাজাবাবুকে কিনবেন তাকে নিজের হাতে তৈরি একটি কাঠের চেয়ার উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সারাজ মিয়া।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে বলেন, ‘রাজাবাবু’ই এখন পর্যন্ত উপজেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাদ্য খেয়ে বড় হয়েছে রাজাবাবু।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/এমএস