রংপুরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, কমেছে মুরগির
সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরে আরও কমেছে মুরগির দাম। সব ধরনের মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুসহ অন্যান্য সবজির দাম। এছাড়া চাল, ডাল, তেল ও মাছ-মাংসের দাম প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ১৫-২০ টাকা কমে ১৪০-১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে পাকিস্তানি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা থেকে কমে ২৪০-২৫০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার ২৪০-২৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, সামনে কোরকানি। এছাড়া গত সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে খামারিরা মুরগি সংরক্ষণের ঝুঁকি নেয়নি। ফলে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি টমেটো ১২০-১৩০, করলা ২৫-৩০ থেকে বেড়ে ৪০-৪৫, শসা ৪৫-৫০ থেকে বেড়ে ৬০-৭০, চিকন বেগুন বেড়ে ৪৫-৫০, গোল বেগুন ৫৫-৬০, পেঁপে ৩০-৩৫, লেবু প্রতিহালি ৮-১০, কাঁচামরিচ ১০ টাকা বেড়ে ৭০-৮০, শুকনা মরিচ ৩৫০, লাউ প্রতিপিস ৪০-৪৫, ঢেঁড়শ ৫-১০ টাকা বেড়ে ৩০-৩৫, বরবটি ৫-১০ টাকা বেড়ে ৪৫-৫০, পটল ১০-১৫ টাকা বেড়ে ৩০-৩৫, ঝিংগে গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেড়ে ২৫-৩০ এবং আদা-রসুনের দাম আকারভেদে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির ডিম আগের মতোই ৩৫-৩৬ এবং দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা থেকে লাফিয়ে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় ২-৩ টাকা বেড়ে ২৩-২৫, শিল আলু ৩২-৩৫ থেকে বেড়ে ৩৭-৩৮ এবং ঝাউ আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি যাচ্ছে।
কামাল কাছনা বাজারের সবজি বিক্রেতা হোসেন মিয়া বলেন, বৃষ্টির কারণে আমদানি কমেছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে।
সিটি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আরিফ হোসেন বলেন, বাজারে কখন কোন পণ্যের দাম কমে আর বাড়ে তার ঠিক নেই। একদিকে একটার কমতে শুরু করে তো কারণ ছাড়াই আরও দুই-একটার দাম বাড়তে থাকে। এসবের বিরেদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
জিতু কবীর/এএইচ/জিকেএস