৫ লাখে বিক্রি হবে ১৭ মণের ‘পদ্মা সেতু’
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দেশাল জাতের একটি গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘পদ্মা সেতু’। আড়াই বছর বয়সী গরুটির গায়ের রং হালকা লালচে ও গলার দিকে কালো। সাত ফুট লম্বা ও পাঁচ ফুট উচ্চতার এ গরুর ওজন প্রায় ১৭ মণ। দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।
কোরবানির ঈদকে সামনে গরুটি প্রস্তুত করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার কাসসাফ অ্যাগ্রো ফারম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এ খামারে আসা ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ দেশাল জাতের গরুটির দিকে। কেউ ছবি তুলছেন আবার কেউ ভিডিও ধারণ করছেন।
খামারের কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিন ‘পদ্মা সেতু’র খাদ্য তালিকায় আলাদাভাবে চার কেজি ভুসি, ১১ কেজি সবুজ ঘাস, ৬ মুঠো খড় থাকে।
কাসসাফ এগ্রো ফারমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল আমিন হোসেন রাব্বি বলেন, ‘মাত্র দুদিন আগেই দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খামারের সবচেয়ে বড় এ গরুটির নাম রেখেছি ‘পদ্মা সেতু’। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য নামটা রাখা হলেও বেশি দাম হাঁকছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে গরুটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর থেকে ‘পদ্মা সেতু’কে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছে। অনেকে গরুটির ছবি তুলছে, ভিডিও করছে।’
তার দাবি, এ খামারে কোনো গরুকে ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো হয় না। নিজেদের জায়গায় উৎপাদনকৃত ঘাস, ভুট্টার গুঁড়া, ভুসি ইত্যাদি খাওয়ানো হয়।
আল আমিন আরও বলেন, পদ্মা সেতু ছাড়াও এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য দুই শতাধিক গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার জাগো নিউজকে বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি হাটে তাদের ভেটেরিনারি টিম থাকবে। কোনো হাটে ভারতীয় গরু যেনে না আসতে পারে সেদিকে সজাগ রয়েছি। কোরবানির জন্য এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু রয়েছে। এছাড়া অ্যাগ্রো ফারমগুলোর পশু বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের যা সহায়তা দরকার তা করছি।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসজে/এএসএম