সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে পানিবাহিত রোগ
অডিও শুনুন
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে পানিবাহিত রোগ-বালাই। জ্বর-সর্দি, আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বানভাসিরা।
এদিকে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কমছে প্লাবিত বিভিন্ন উপজেলার পানি। পাশাপাশি জেলার সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনও পানিবন্দি জেলার লক্ষাধিক মানুষ। ৪৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন বানভাসিরা।
বানভাসিরা জানান, বন্যার পানিতে হাওর এলাকার সব টিউবওয়েল তলিয়ে গেছে। সেজন্য আমরা বিশুদ্ধ পানি খেতে পারছি না। হাওর ও নদীর পানি খেয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। যার ফলে আমাদের শিশু ও বয়ষ্করা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের ভাদেরটেক এলাকার বাসিন্দা হুসেন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বন্যার পানি কমলেও আমরা ভালো পানি খেতে পারছি না। যার ফলে বিভিন্ন রোগে দেখা দিচ্ছে।
সুনামগঞ্জের আলীপুর এলাকার বাসিন্দা জাবেদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বন্যার পানি আসার পর থেকে আমরা দুর্গতির মধ্যে আছি। কারো ঘর ভাসিয়ে নিয়ে গেছে কারো বা গরু ছাগল। শুধু তাই না, বন্যার পানিতে সবগুলো টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় পচা পানি খেয়ে আমাদের জীবন চালাতে হচ্ছে। যার ফলে শিশু ও বৃদ্ধরা জ্বর-সর্দি, আমাশয়, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের আলীপুর এলাকার বাসিন্দা নূর নাহার জাগো নিউজকে বলেন, হাওরের পানিতে মরা মানুষ, হাঁস, মুরগিসহ বিভিন্ন মরা পশু-পাখির পচার গন্ধ। আমরা সেই পানি খেয়ে বিভিন্ন রোগের সম্মুখীন হচ্ছি।
তিনি বলেন, চারদিকে পানি আর পানি। খাদ্য সামগ্রী যেভাবে এসে আমাদের দিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেভাবে যদি ডাক্তাররা বাড়ি বাড়ি এসে আমাদের দেখে যেত তাহলে হয়ত আমাদের জীবনটা বাঁচত।
তবে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব তেমন একটা দেখা যায়নি। ১২৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খাবার স্যালাইন, ওষুধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট মজুত আছে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস