পদ্মা সেতুর জনসভায় যোগ দেননি শরীয়তপুরের ৩ এমপি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২৫ জুন ২০২২
গৌরবময় মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে শরীয়তপুরের লাখো মানুষ এরই মধ্যে বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভাস্থলে পৌঁছেছেন। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় জনসভায় যোগ দিতে পারছেন না শরীয়তপুরের তিন সংসদ সদস্য।
শনিবার (২৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে করোনা পজিটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা নিজেই।
তারা হলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
তারা লিখেছেন, আজ ২৫ জুন ২০২২, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে আমরা গত এক মাস যাবত কাজ করে যাচ্ছিলাম।
আমাদের দুর্ভাগ্য (তিন দফা করোনা পরীক্ষা করি) গতকাল রাতেও আমাদের তিনজনেরই কোভিড পজিটিভ হওয়ার কারণে আমরা অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারছি না। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষকে এমন একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের জন্য।
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথ রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
মো. ছগির হোসেন/এসজে/এএসএম