সড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট, হেঁটে সভামুখী মানুষ
এন কে বি নয়ন এন কে বি নয়ন কাঁঠালবাড়িয়া থেকে
প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন পরিবহনে বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভাস্থলে আসছেন মানুষ। গাড়ির চাপে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো-প্রাইভেটকার ছেড়ে হেঁটেই জনসভার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন হাজারও মানুষ। প্রখর রোদে গাছের পাতা মাথায় নিয়েছেন অনেকে।
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়কপথে রোববার (২৬ জুন) ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হবে।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।
খুলনা তেরখাদা থেকে আসা মো. শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘জনসভায় অংশ নিতে ভোরে বাসে উঠি। প্রচণ্ড গরম, তীব্র যানজট। এদিকে সময়ও চলে যাচ্ছে। তাই হেঁটেই রওয়ানা করেছি।’
খুলনা থেকে আসা মো. রনি শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘কষ্ট হচ্ছে। এরপরও অনেক খুশি, আনন্দ লাগছে। যত কষ্টই হোক জনসভায় পৌঁছাবো।’
যশোর থেকে আসা নুরুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্ন। দীর্ঘ কয়েকশো কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে এসেছি। যানজট আর রোদে কষ্ট হলেও আনন্দ পাচ্ছি।’
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
এন কে বি নয়ন/এসজে/এমএস