প্রধানমন্ত্রীকে গান শোনাতে নাটোর থেকে মুন্সিগঞ্জে ইসহাক মিয়া
জাগো নিউজ টিম জাগো নিউজ টিম নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ২৫ জুন ২০২২
অডিও শুনুন
‘বঙ্গবন্ধু আমার অনুপ্রেরণা। আমার স্বপ্ন আমার কল্পনা। কিন্তু ঘাতকরা তাকে বাঁচতে দেয়নি। বর্তমানে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাঙালির বহু দিনের স্বপ্ন পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তার তাই তাকে পদ্মা সেতু নিয়ে আমার লেখা একটি গান শোনাতে চাই।’
কথাগুলো বলছিলেন নাটোরের সিংহারদহ এলাকার বাসিন্দা ইছাহক আলী মুন্সী। তিনি ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে চিন্তা করতেন। কবিতা ও গান রচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বৃদ্ধ বয়সেও কবিতা ও রচনা লেখা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই পর্যন্ত তিনি ৩০টি গান লিখেছেন বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে।
শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে নাটোর থেকে এসেছেন মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এলাকায়।
ইছাহক আলী মুন্সী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্পন’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছি। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই কাব্যগ্রন্থটি ছাপানোর সুযোগ পাইনি। কোনো সহযোগিতা পেলে সেটা ছাপানোর শেষ ইচ্ছা রয়েছে আমার।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার এই টান দেখে অনেকেই কটূক্তি করে। কিন্তু আমি সেই কটূক্তির গুরুত্ব দিই না। আমি বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনাকে ভালোবাসি। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বহু ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু তিনি কোনো ষড়যন্ত্রকেই পাত্তা দিচ্ছেন না। তাকে আমি একটা গান শুনাতে চাই। এটাই আমার ইচ্ছা।
শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হবে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়ক পথ। পরেরদিন ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
আরাফাতরহমান সাকিব/মোবাশ্বির শ্রাবণ/রাশেদুল হাসান রাজু/এফএ/এমএস