শীতে কাজ নেই : দুর্ভোগ বেড়েছে দিনমজুরের


প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত শীত আর শৈত্যপ্রবাহে রংপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দিনমজুরদের। খেটে-খাওয়া দিনমজুরেরা তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসলেও কাজ না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন।

নগরীর চেকপোস্ট, শাপলা চত্বর, ধাপ শিমুলবাগ ও বেতপট্টি মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায় সকাল হলেই ডালি, কোদাল, খন্তা, দড়ি, দা-সহ কাজের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকেন মজুরেরা। কখন কাজের ডাক আসবে এই আশায় প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে কাজের সন্ধ্যানে ছুটে এসেছেন তারা।

ঘন কুয়াশা আর শীতের কারণে বেলা ১১টাতেও ব্যস্ততম নগরীতে দেখা যায় দিনমজুরেরা কাজ না পেয়ে বসে আছেন। আবার কেউ কেউ খোশ গল্পে মেতে উঠেছেন।

মঙ্গলবার এদেরই কয়েকজনের সঙ্গে বলে জানা যায়, এমনিতে শীত এলে কাজ একটু কম হয়। ক’দিন থেকে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কাজ থাকলেও ডাক পড়ছে না। জরুরি কাজ না হলে কেউ কাজে ডাকছেন না।

দিনমজুর সোলেমান জাগো নিউজকে জানান, সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই সবাই যার যার কাজে চলে যায়। আর কাজ না থাকলে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু শীতের কারণে অনেক বেলা হলেও কেউ কাজে ডাকছেন না। মাঝে মাঝে কাজ মেলে তাই বেলা ১১টা হলেও অপেক্ষায় আছেন তারা।

অপর এক দিনমজুর আসলাম উদ্দিন জানান, যেখানে প্রতিনিয়ত ৫০ থেকে ৬০ জন মজুর এখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যান সেখানে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০ জনেরও কাজ মেলেনি।

দিনমজুর রহিম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, একদিন কাজ না হইলে হামার বিপদ। যে জিনিস পাতির দাম, তাতে সংসার চলা খুব কষ্ট হয়া গেইচে’।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল সালাম জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার সকালে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

গত কয়েকদিন থেকে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আরো ২/১ স্থায়ী হতে পারে বলে তিনি জানান।

রংপুর জেলা প্রশাসকের জেলা ত্রাণ ও পুণর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক জানান, এ পর্যন্ত ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কম্বল বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।

জিতু কবীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।