দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন সত্য হচ্ছে আজ
এন কে বি নয়ন এন কে বি নয়ন কাঁঠালবাড়িয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৮:০১ এএম, ২৫ জুন ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দ্বার খুলছে আজ। পদ্মা পাড়ে বইছে আনন্দ উৎসব। তাই পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের সেতু নিয়ে ভাবনার যেন অন্ত নেই। সবার প্রাণে বইছে খুশির জোয়ার।
সরেজমিনে জনসভার আশপাশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারাই নয়, দক্ষিণ অঞ্চলের সবাই অপেক্ষারত। কখন চালু হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সলেমান মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, আমরা খুব খুশি। আমাদের একটি বড় স্বপ্ন পূরণ করেছেন শেখ হাসিনা। সেতুর কারণে আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের সবদিক দিয়েই উন্নয়ন সাধিত হবে।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবদিয়া ইউনিয়নের নুর মোহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের জন্য খুশির খবর। ভালো খবর। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর অনেক উপকার হবে। উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।
এলাকার ভ্যানচালক নুরু উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের জন্য ভালো। এটা আমাদের গর্ব। সরকার পদ্মা সেতু করে দিয়েছে, আমাদের উন্নয়ন হবে। সহজে যাতায়াত করা যাবে। ঘাটে বসে থাকা লাগবে না। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য সবদিক দিয়েই ভালো।
কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম কুদ্দুস শেখ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ভাগ্যবান। পদ্মায় সেতু হবে ভাবতে পারিনি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এটা বড় পাওয়া। ভালো লাগছে। বড় খুশি লাগছে। কয়েকদিন ধরে অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখছি। অপেক্ষার পালা আজ শেষ হচ্ছে।
শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করা হবে বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর সড়কপথ। পরদিন ভোর ৬টা থেকে যানচলাচল শুরু হবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
এফএ/এএসএম