ভাঙ্গার গোলচত্বরে বর্ণিল আলোকসজ্জা, গভীর রাতেও মানুষের ভিড়
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভাঙ্গা গোল চত্বর থেকে
প্রকাশিত: ০৪:২৭ এএম, ২৫ জুন ২০২২
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ফরিদপুরের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বর বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে। লাল-নীল, হলুদ-সবুজ ও বিভিন্ন রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে পুরো গোলচত্বর এলাকা। লাল-সবুজের রঙিন বাতিতে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। মনমাতানো আলোকসজ্জা দেখতে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় করতে দেখা যায় নানা শ্রেণীর, নানা বয়সী মানুষদের।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাত ১২টা পর্যন্তও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ-শিশুর মানুষের ভিড় দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্বরজুড়ে রঙিন বাতির আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। আশপাশের ও দূর-দূরান্তের প্রায় শত শত মানুষ সেখানে স্থানে ভিড় করছেন।
সেখানে শিশুদের জন্য নানা ধরনের রঙিন বেলুন, খেলনা বিক্রেতারাও জড়ো হয়েছেন। এছাড়াও ঝালমুড়ি, হাওয়াই মিঠাই, আইসক্রিম বিক্রেতারা গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে পণ্য বিক্রি করেন।
বেলুন বিক্রেতা আলি আজগর জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই স্থানে বেলুন বিক্রি করি। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আজ নতুন করে রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ কারণে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড়। তবে অন্য দিনের তুলনায় লোকজনও বেশি, বেচাবিক্রিও বেশ ভালো।
সেখানে ঘুরতে এসেছেন মিতালি পারভিন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন, খুশির দিন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু যা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। এই খুশির দিনে ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আলোকসজ্জা দেখলাম। সেলফি, ছবি তুললাম। আমাদের কাছে দিনটি, সময়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিনই এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। তবে আজ আলোকসজ্জা ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মানুষের ভিড়ও বেশি। বেশি রাত পর্যন্ত মানুষের পদচারণায় গোলচত্বর এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ভাঙ্গা গোলচত্বরের পাশের বাসিন্দা রফিকুল ও সুমাইয়া বেগম। সঙ্গে তাদের ৮ বছরের একমাত্র ছেলে ফারদিন। রাতের আলোকসজ্জা দেখতে এসেছেন। তারা জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। আবেগের সেতু। আমাদের গর্বের সেতু। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ভাঙ্গা গোল চত্বরে ঝলমলে আলোকসজ্জা করা হয়েছে, জানতে পেরে পরিবারের সবাই মিলে দেখতে এসেছি। ভালো লাগছে। বেশ ভালো সময় কাটলো।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সমাবেশে অংশ নেবেন সাড়ে তিন হাজার সুধীজন। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিকরা।
সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। পরে টোল দিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে গমন এবং ফলক উন্মোচন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। পরে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশা, এই জনসভায় ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
এন কে বি নয়ন/ইএ