স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিলেন স্বামী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ২২ জুন ২০২২
মরদেহের খোঁজে তৎপরতা চালাচ্ছে ডুবুরি দল

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নদীতে ডুবিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত আবুল হোসনকে (৪৫) আটক করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। নিখোঁজ মাজেদা বেগমের (৩৩) খোঁজে ডুবুরি নামানো হলেও তিনদিনেও সন্ধান মেলেনি।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুস্তা গ্রামে রোববার(১৯ জুন) এ ঘটনা ঘটে।

Manik-(3).jpg

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার কুস্তা গ্রামের ড্রেজার শ্রমিক আবুল হোসেনের সঙ্গে সাত মাস আগে একই উপজেলার বালিয়াবাঁধা গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মাজেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে নানাভাবে নির্যাতন ও মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিলেন আবুল হোসেন।

রোববার (১৯ জুন) কর্মস্থল সাভারের আশুলিয়া থেকে মাজেদা স্বামীর বাড়িতে গেলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে স্বামী আবুল হোসেন রাত ৯টার দিকে বাড়িঘেঁষা ধলেশ্বরী নদীতে তাকে নিয়ে ডুবিয়ে হত্যা করেন। এরপর শরীরে কাপড় মুড়িয়ে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেন। পরদিন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে মাজেদা বেগমের মা থানা পুলিশকে জানান।

Manik-(3).jpg

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবুল হোসেনকে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ মাজেদা বেগমের সন্ধানে মঙ্গলবার দিনভর তৎপরতা চালালেও তার খোঁজ মেলেনি। বুধবারও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে।

এ ঘটনায় মাজেদা বেগমের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আবুল হোসনেকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।