ঝিনাইদহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনসাধারণের ভোগান্তি


প্রকাশিত: ০৫:১৩ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬

ঝিনাইদহে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে।

চুয়াডাঙা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে ঝিনাইদহে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বিরাজ করছে। গত রোববার আবহাওয়া অধিদফতর চুয়াডাঙায় সর্ব্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৬ দশমিক ৮  ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙার পাশের জেলা হিসেবে ঝিনাইদহেও ৭.৫, ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস চলে আসছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষকগণ জানিয়েছেন, ভৌগোলিক কারণে শীতের এমন তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নিউমোনিয়া, রোটা ভাইরাস, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগীর চাপ ক্রমে বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Jhnidah

তাছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতি রাতে বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। ফলে অনেক বেলা অবধি হেডলাইট জ্বালিয়ে গাডি চালাতে হচ্ছে। এতে অহরহ দুর্ঘটনাও ঘটছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল হ্রাস পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। শীতার্ত মানুষকে খড়কুটোর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে। গরীব মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট ভোগ করছে।

কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশায় সবজি চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হতে বসেছে কৃষকের বোরো বীজতলা। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় বোরো বীজের চারাগুলো হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। বোরো চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

তবে কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র কম্বল ছাড়া তেমন কোনো শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।