পোস্টারে-পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে চাঁদপুর
দীর্ঘ ১০ বছর পর বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে পুরো জেলায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পোস্টারে-পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে পুরো শহর।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বড় বড় সাইনবোড, বিলবোর্ড, ব্যানার ও ইঙন পোস্টারে-পোস্টারে সেজেছে জেলাসহ পুরো শহর। সম্মেলন স্থান স্টেডিয়ামও পোস্টার-ব্যানারে সেজেছে। এছাড়া সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কাউন্সিলরদের সঙ্গে সভা-মতবিনিময় করে যাচ্ছে।
এদিকে সম্মেলনের দিন ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভিড় জমায় সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সম্ভাব্য সকল প্রার্থীদের দলীয় কার্যালয়ে সকলের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের মিলন মেলায় পরিণত হচ্ছে। সম্মেলনের দিন প্রথম অধিবেশনে স্টেডিয়াম মাঠে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল এক জনসভা। ইতোমধ্যে মাঠে মঞ্চের নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। যাবতীয় কাজ দেখাশুনা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মাঠে কিছুক্ষণ পর পর দলবেধে নেতৃবৃন্দ যাচ্ছেন মঞ্চের কাজ দেখার জন্য। বিশাল মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২শতাধিক অতিথি থাকবেন।
প্রধান মঞ্চের পাশেই তৈরি হয়েছে আরো একটি মঞ্চ সেখানে স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। সম্মেলনস্থলে থাকছে প্রায় ৩০টি সিসি ক্যামেরা। মঞ্চের পাশেই থাকছে বিশাল আকারের মনিটর। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।
অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আ. মতিন খসরু এমপি, র.ম. মুসতাকিন, ফরিদুর রহমান লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দীসহ জেলার সকল সংসদ সদস্য।
সম্মেলন সফল করতে গত শনিবার বর্ধিত সভায় বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হলেন ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি ও সদস্য সচিব আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল। আর জেলা আওয়ামী লীগের সকল সদস্য ওই কমিটির সদস্য। অন্যান্য কমিটি হলো- অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মেয়র নাছির উদ্দিন আহামেদ, সদস্য সচিব ইউছুফ গাজী, মঞ্চ কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আলহাজ্ব তাফাজ্জ্বল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, অর্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, প্রচার কমিটির আহ্বায়ক সন্তোষ কুমার দাস, সদস্য সচিব হাসান ইমাম বাদশা, দফতর কমিটির আহ্বায়ক অজয় ভৌমিক, সদস্য সচিব মাসুদ আলম মিল্টন, চিকিৎসা কমিটির আহ্বায়ক ডা. হারুনুর রশিদ সাগর, আইনশৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক আমানউল্লা মিজান রাজু চৌধুরী, সদস্য সচিব অ্যাড. মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, খাদ্য কমিটির আহ্বায়ক আহসান উল্লা আখন্দ ও সদস্য সচিব শামছুল হক মন্টু পাটোয়ারী। কিন্তু সম্মেলনে কতজন কাউন্সিলর বা ভোটার তা এখনও জানা যায়নি।
সর্বশেষ এ পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১২ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। এদের মধ্যে সভাপতি পদে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাঁদপুর পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট চিকিৎসক জে আর ওয়াদুদ টিপুর নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বিএমএর সভাপতি ডা. হারুন অর রশিদ সাগর, শামছুল হক মন্টু পাটোয়ারী, জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া।
এছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউছুফ গাজী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নাম শোনা গেলেও সভাপতি নাকি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তা এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এবং কোথায়ও তার পোস্টার-বিলবোর্ড-ফেস্টুন লক্ষ্য করা যায়নি।
ইকরাম চৌধুরী/এসএস/পিআর