ওসমানী মেডিকেলে ঢুকেছে পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ১৮ জুন ২০২২

বন্যার কারণে নাজুক সিলেটের পরিস্থিতি। এর মধ্যেই অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার বর্ষণে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পানি ঢুকেছে।

শনিবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে নিচতলার ওয়ার্ডগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করে। হাসপাতালের জেনারেটরে পানি ঢোকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় হাসপাতালের অস্ত্রোপচার বিভাগ ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসাব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ নিচতলায় হাঁটু সমান পানি। একই সঙ্গে হাসপাতালের কেন্দ্রীয় জেনারেটরও পানির নিচে। ফলে হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ কারণে জরুরি অপারেশন ও আইসিইউ ও সিসিইউর রোগীদের নিয়ে বিপাকে আছি।

নিজের অফিস কক্ষেও হাঁটু সমান পানি জানিয়ে হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, নিচতলায় সার্জারি, নবজাতক শিশুদের বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্কেনো, প্যাথলজি বিভাগ, জরুরি বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ, প্রিজন ওয়ার্ড, এমআরআই, সিটি স্ক্যান মেশিন কক্ষেও পানি ঢুকেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রায় ১৫০ ব্যাগ রক্ত নষ্ট হওয়ার উপক্রম। ফ্রিজ নিচ থেকে উপরে তোলা হলেও বিদ্যুৎ না থাকায় রক্তগুলো জমাট বাঁধতে শুরু করছে।

মাহবুবুর রহমান বলেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও হাসপাতালের সার্ভার লাইন পানির নিচে থাকায় বিদ্যুৎ চালু করা যাচ্ছে না। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি ছোট ছোট জেনারেটর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়েছি।

এদিকে শনিবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের অনেক এলাকায় নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর মদীনা মার্কেট, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার, কলাপাড়া, আম্বরখানা, চৌহাট্টাসহ অনেক উঁচু এলাকা আজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রবল স্রোতসহ পানি প্রবেশ করতে থাকায় এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল এক ১০৮.৭ মিলিমিটার। সেখানে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৫৭ মিলিমিটার। এর মধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ছিল ৪৭ মিলিমিটার এবং সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল ১১০ মিলিমিটার। আজ আরও বৃষ্টি হবে এবং এ অবস্থা আরও ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।

ছামির মাহমুদ/এসজে/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।