রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১৮ জুন ২০২২

টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ জারি করেছেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (১৭ জুন) সারাদিন টানা বর্ষণের কারণে এ নির্দেশনা জারি করেন জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাইফুল ইসলাম রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানান।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে সতর্কতার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, ‘রাঙ্গামাটিতে আজ অব্যাহত বর্ষণ হচ্ছে এবং আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু আমাদের রাঙ্গামাটি পাহাড়ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সেহেতু যারা ঝুঁকিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছেন তাদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করা শ্রেয়। মাত্র ৫ বছর আগে ২০১৭ সালের মর্মান্তিক পাহাড়ধস এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেন আমরা ভুলে না যাই। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবক, পৌরসভার কাউন্সিলরগণ ইতোমধ্যে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি জীবন অমূল্য। কাপ্তাই, কাউখালি, নানিয়ারচর উপজেলাসহ অন্যান্য সকল উপজেলায় অনুরূপ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে।’

এদিকে পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি শহরের ৯ ওয়ার্ডে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে। লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আমরা সবাইকে মাইকিং করে সর্তক করছি।

তিনি আরও জানান, আমরা ২০১৭ সালের পাহাড়ধসের ভয়াবহতা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমাদের দূযোর্গ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।

২০১৭ সালে রাঙ্গামাটিতে টানা বর্ষা হয়। এতে পাহাড়ধসে১২০ জন নিহত হন।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।