নওগাঁর আম ব্র্যান্ডিং হিসেবে পরিচিতি পাবে: খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁর আমের প্রশংসা করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এ আম সারাদেশে ব্র্যান্ডিং হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।
তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার বরেন্দ্রভূমি হওয়ায় আম অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি। এখানে বিষমুক্ত ও নিরাপদ আম উৎপাদন হয়ে থাকে। বিদেশেও এ আম রপ্তানি হয়।
শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোডাউনপাড়া বাবু চৌধুরীর আমবাগানে আম পাড়া উদ্বোধন শেষে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আম উৎপাদন করে এ অঞ্চল অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবদান রাখবে মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বরেন্দ্র এলাকা সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় একসময় কৃষকরা ধান ও গম চাষ করতেন। আমচাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা এখন ধানচাষ ছেড়ে দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাপাহারে একটি ইকোনমিক জোন স্থাপনের ঘোষণা করেছেন। এ অঞ্চলে আম প্রসেসিং থেকে শুরু করে জুস তৈরির কলকারখানা স্থাপনের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানি আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমি মনে করি এখানে ইকোনমিক জোন হলে আমচাষিরা আরও বেশি লাভবান হবেন।
এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুল ওয়াদুদ, সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্জাহান হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার ১১টি উপজেলায় ২৯ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। গতবছরের চেয়ে এবছর প্রায় তিন হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে বেশি বাগান গড়ে উঠেছে। পাঁচ হাজার ৮০০ আমচাষির প্রায় সাড়ে ৯ হাজার বাগান রয়েছে।
চলতি মৌসুমে সম্ভাব্য আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিন টন। যেখানে প্রতি হেক্টর জমিতে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন।
পোরশা উপজেলায় ১০ হাজার ৫২০ হেক্টর, সাপাহারে ১০ হাজার হেক্টর, পত্নীতলায় ৪ হাজার ৮৬৫ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ১ হাজার ১৩৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৪৪৫ হেক্টর, রানীনগরে ১১০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১২০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৫২৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৬৮০ হেক্টর, মান্দায় ৪০০ হেক্টর এবং ধামইরহাটে ৬৭৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে।
আব্বাস আলী/এসআর/এএসএম