জমে উঠেছে বানেশ্বর আমের হাট
অডিও শুনুন
জমে উঠেছে রাজশাহীর বানেশ্বর আমের হাট। সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে গুটি, গোপালভোগ ও লখনাসহ বিভিন্ন ধরনের আম উঠতে শুরু করেছে। দিনের পর দিন বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
শুক্রবার (৩ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে আম চাষি, ক্রেতা, আড়তদারদের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।
আম চাষিরা বলছেন, গেলো বছরের চেয়ে এবার সব ধরনের আম মণপ্রতি ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রথম থেকে এখন অব্দি বাজারে গুটি বা আঠি আমের প্রাধান্য রয়েছে। এছাড়াও লখনা, গোপালভোগ আমও দেখা গেছে এ হাটে। খিরসাপাত (হিমসাগর), রানি পছন্দ এবং ফজলি আম বাজারে দেখা মিললেও সেটি খুব কম। এবার এসব মিষ্টি জাতের আমের ফলন কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সেগুলো সরাসরি সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন।
আমের দর সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, বাজারে গুটি আম স্বাদ ও আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি ও বড় আকারের গুটি আম বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১২০০ টাকা মন। ছোট আকারের গুটিগুলো ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বানেশ্বর বাজারে সবচেয়ে বেশি রয়েছে লখনা। আকার ভেদে এ আম বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১৫০০ টাকায়। ছোট আকারের সুমিষ্ট গোপালভোগ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-২০০০ এবং বড়গুলো বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৬০০ টাকায়। তবে গোপালভোগ আম ৩০০০-৩৫০০ হাজার টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে জানান তারা।
এদিকে খিরসাপাত প্রথম থেকেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের খিরসাপাত ১৭০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হলেও বড় আকারের আমগুলো বিক্রি হচ্ছে ২৪০০-২৬০০ টাকায়। তবে মাঝারি আকারের রানি পছন্দ আম বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকায়। এছাড়া হাটে প্রতিমণ তোতাপুরি, আধাসুন্দরী, কাঁচামিঠা, রত্নাসহ আঁটি আমগুলো ৭০০-১৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তষ্ট হলেও ‘ঢলন প্রথা’ নিয়ে অসন্তুষ্ট চাষিরা। ৪০ কেজিতে মণ হলেও ফড়িয়া বা আড়তিরা ৪৮-৫২ কেজিতে আম কিনছেন। এতে লাভের গুড় পিঁপড়ায় খাচ্ছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে বানেশ্বর হাট সমিতির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার মোবাইলে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, এবার আমের উৎপাদন কম। যার কারণে বানেশ্বর আমের হাট দেরিতে জমেছে। চাষিদের অভিযোগ, ঢলন প্রথার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বেশি আম নিয়ে নিচ্ছেন। এনিয়ে সতর্ক করলেও আড়তিরা মানছে না।
আরএইচ/এএসএম