নিখোঁজের দুইদিন পর গৃহবধূর মরদেহ মিললো তিস্তায়
নিখোঁজের তিনদিন পর ফরিদা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার তিস্তা নদীর পাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফরিদা বেগম লালমনিরহাটের হারাটী ইউনিয়নের কিসামত চোঙ্গাদারা গ্রামের ছাত্তার আলীর দ্বিতীয় মেয়ে এবং খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের মৃত নবিয়ার খাড্ডার ছেলে দুলাল হোসেনের স্ত্রী। তার দুই সন্তান রয়েছে।
নিহতের বাবা ছাত্তার আলী ৩১ মে (মঙ্গলবার) লালমনিরহাট সদর থানায় ফরিদা নিখোঁজ মর্মে জিডি করেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিস্তার তীরে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট থানা পুলিশ পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেন। পরে ফরিদার বাবা মরদেহ শনাক্ত করলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠায়।
ছাত্তার আলী জানান, সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে দুলাল হোসেনের সঙ্গে ফরিদার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান হয়। মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির পাশের লোকজনের মুখে জানতে পারি ফরিদাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর থেকে ফরিদাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনা শোনার পরই মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গেলে তারা জানান- সকাল থেকেই ফরিদাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান না পাওয়ায় বুধবার (১ জুন) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় জিডি করি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জাগো নিউজকে বলেন, ফরিদাকে হত্যা পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তরিত জানা যাবে।
রবিউল হাসান/এএইচ/জেআইএম