গাজীপুরে টায়ার কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ৫


প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ২৩ জানুয়ারি ২০১৬

গাজীপুরে একটি কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ হয়ে পথচারী এক স্কুল শিক্ষিকাসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইলের স্মার্ট মেটাল অ্যান্ড ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে।

নিহতরা হলেন, পথচারী স্থানীয় বাড়ইবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সিদ্দিকা জেবুন নেছা, ওই কারখানার দারোয়ান স্থানীয় বসুগাঁও এলাকার সেলিম মোল্লা (৪৫), মাদারীপুরের বাঘরিয়া এলাকার কাউসার হোসেন (৪০)। বাকি দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানায়, বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে ওই খানায় পরপর দুটি বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণের পরক্ষণেই কারখানায় থাকা একটি ট্যাঙ্ক লরির বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণে টিনসেটের ওই কারখানার চালসহ ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এসময় কারখানার পাশ্ববর্তী জয়দেবপুর-পূবাইল সড়কে দিয়ে যাবার সময় অটোরিকশা যাত্রী স্কুল শিক্ষিকা অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং চালক স্বাধীন আহত হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং এলাকাবাসী আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
 
এসময় ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা মৃত আরো ৪ জনের অঙ্গার দেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা কারখানার অগ্নিদগ্ধ সুপারভাইজার আব্দুল কাদের (৫৫) এবং সুপারভাইজার কামাল হোসেনকে (৪৯) গাজীপুরের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রিকশাচালক স্বাধীনকে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠায়।

এ দিকে রাত হয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সার্চ লাইট জালিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল্লা আল মামুন জানান, অগ্নিদগ্ধদের শরীরের শতকরা ৯০ভাগ পুড়ে গেছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্বাধীনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী হাসপাতালের আরএমও ডা: পারভেজ হোসেন।

আমিনুল/এএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।