সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী খুন : ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার


প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুনের ঘটনায় ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিনদিন অতিবাহিত হলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে নিহত শিক্ষার্থীর স্বজন ও সহপাঠীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিন্ডিকেট সভায় গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৪র্থ বর্ষ ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিবের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় প্রাথমিক তদন্তে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, ময়নুল ইসলাম রুমেল, বশির আহমদ তুহিন, নাহিদ, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়নকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ দফতরের পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ জাগো নিউজকে বলেন, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

তিনি জানান, ঘটনাটি তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে তদন্ত কার্যক্রমের স্বার্থে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শনিবার থেকে ভর্তি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাসের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, শামসি বেগম, প্রফেসর ড. মো. ইউনুস, বিজিত চৌধুরী, প্রফেসর মোহাম্মদ রুহুল আমীন ও রেজিস্ট্রার নসরত আফজা চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে গ্রুপ পরিবর্তন করায় ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিবের ওপর হামলা করে নিজ দলের নেতাকর্মীরা। প্রথমে হাবিবকে তার সহপাঠিরা সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল মাউন্ড অ্যাডেরায় ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার মৃত্যু হয় হাবিবের।

নিহত হাবিব কুমিল­া জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামের কাজি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে সিলেটের কানিশাইল এলাকায় একটি মেসে থেকে লেখাপড়া করতো।

এঘটনায় গত বুধবার ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনির্ভাসিটির বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী হোসাইন আহমদ সাগরকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিরের বড়ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বহিষ্কৃত সবাই ওই মামলার এজাহার নামীয় আসামি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভির ফুটেজেও হত্যাকাণ্ডে বহিষ্কৃদের অংশ নেয়ার চিত্র ধরা পড়ে।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।