খুনের দৃশ্য সিসিটিভিতে তারপরও...


প্রকাশিত: ০৩:২৩ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

সিলেট নগরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতে খুন হওয়া ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুনের দুদিনেও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী কাজী জাকির হোসেন।

এদিকে ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব খুনের দৃশ্য সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কোতয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাম্পাস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজের দৃশ্য থেকে ইউনিভাসির্টি কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সহযোগিতায় নিহত হাবিবের ভাই কাজী জাকির হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় ১১ জনের নাম উল্লে­খ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন। তাদের সবাইকে সিসিটিভির ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজি হাবিবুর রহমান হাবিবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। ক্যাম্পাসের সামনে প্রকাশ্যে হাবিবকে পেটানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে ওই দিনই নগরীর মাউন্ড এডোরা হাসাপতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাবিবের মৃত্যু হয়।

নিহত কাজী হাবিবুর রহমান হাবিব নগরের কানিশাইল এলাকায় একটি বাসার মেসে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্ল­া জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের রানীঘাট গ্রামে।
 
ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।