বেনাপোলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের চেয়ার-টেবিল জব্দ


প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলের আমদানি পণ্য অনিয়মের মাধ্যমে নিলামের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত চেয়ার-টেবিল জব্দ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বুধবার রাত ৮টার দিকে জব্দকৃত মালামাল কাস্টমস থেকে বের করে নেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঘটনাটি গোপন রাখা হলেও বৃহস্পতিবার বিকেলে তা ফাঁস হয়ে যায়।

জানা গেছে, বুধবার সকালে যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে আদালতের নাজিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, বাদীর প্রতিনিধি ও বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ একটি খালি মিনি ট্রাক নিয়ে বেনাপোল কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের অফিসে ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করতে উপস্থিত হন।

আদালতের আদেশ প্রদর্শনের পর কাস্টমস কর্মকর্তা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানান। পরে আদেশ স্থগিত করার চেষ্টা চালানো হয়। স্থগিতের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বিকেল ৫টা থেকে মালামাল জব্দ করা শুরু হয়।  

বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল কাস্টমসের বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কথা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন চেয়ার-টেবিল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিনি কেবল আদালতের নির্দেশ পালন করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিলের প্রায় ৮২ লাখ টাকা মূল্যের একটি আমদানি পণ্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানিকারককে না জানিয়ে নিলামে তোলে। ২০০০ সালে ওই আমদানিকারক ক্ষতিপূরণ দাবি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যশোরের যুগ্ম ও জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় বেনাপোল কাস্টমের নিলাম শাখার সুপার, যুগ্ম কমিশনার ও কাস্টম কমিশনারকে।

অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আমদানিকারককে ক্ষতিপূরণ পরিশোধের জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই অর্থ পরিশোধ না করায় ও আদালতের আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় বুধবার যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বুশরা সাইয়েদা কাস্টমস অফিসে কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত চেয়ার-টেবিল জব্দের নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশে ওই দিন রাতে জব্দকৃত মালামাল কাস্টমস থেকে বের করে যশোরে নিয়ে যাওয়া হয়।

জামাল হোসেন/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।