স্লুইচ গেট দিয়ে ঢুকছে পানি, তলিয়ে গেছে বোরো ধান
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হঠাৎ বেড়েছে গুমানি নদীর পানি। পুঁইবিল স্লুইচ গেটের ভাঙা দরজা দিয়ে বোরো প্রকল্পে ঢুকে পড়েছে বেড়ে যাওয়া পানি। এতে পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
শুক্রবার (২০ মে) বিকেল থেকে বোরো প্রকল্পের ভেতর পানি ঢুকতে থাকে। শনিবার (২১ মে) বিকেল পর্যন্ত পানি ঢুকছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই অনেকে ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোমর সমান পানিতেই ধান কেটে নৌকায় বা পলিথিনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার পুঁইবিল কৈচারকোনা বোরো প্রকল্পের কৃষক বকুল সরকার বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় গুমানি নদীর পানি অস্বাভাবিক বাড়ায় স্লুইচ গেটের ভাঙা অংশ দিয়ে প্রকল্পের ভেতরে পানি ঢুকছে। এরই মধ্যে শতাধিক বিঘা জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। শুক্রবার রাতে পানি প্রবেশের গতি আরও বেড়ে গেছে।’
পুঁইবিল গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘একদিনে গুমানি নদীর পানি প্রায় দুই হাত বেড়েছে। স্লুইচ গেটের পুরোনো দরজা পুরো ভেঙে গেলে ইরি-বোরো ধানের প্রকল্প এলাকা তলিয়ে যাবে।’
উপজেলার তারাপুর গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘খাওয়াসহ ৮০০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এখন আমার পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে। কি করবো বুঝতে পারছি না।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বরো প্রকল্পের অভ্যন্তরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিল অঞ্চলের দিলপাশার ইউনিয়ন ও খানমরিচ ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান প্রায় পেকে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ওই প্রকল্পে চার হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। শতকরা ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। অবশিষ্ট জমির ধানও পেকে গেছে। তাই আকস্মিক নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা আতঙ্কিত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইচ গেট দিয়ে পানি ঢুকলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
পাবনা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলামিন হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার স্লুইচগেটের দরজা বন্ধ করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ না হয়ে থাকলে পানি ঢুকতে পারে। পুনরায় চেক করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগ ও পাউবোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমিন ইসলাম জুয়েল/এসজে/জেআইএম