খুলনায় পেঁয়াজে সয়াবিন তেলের উত্তাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৫:২৭ পিএম, ১৫ মে ২০২২
খুলনায় দুদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৭-৮ টাকা করে দাম বেড়েছে

আমদানি বন্ধের অজুহাতে খুলনায় দুদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৭-৮ টাকা করে দাম বেড়েছে। দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৩৩ টাকায়, সাত টাকা বেড়ে তা এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অথচ দুদিন আগেও এ পণ্যটির দাম ছিল ৩৩ টাকা। ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

নগরীর সোনাডাঙ্গার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মালেক সরদার বলেন, সরকার সম্প্রতি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এতে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি নেই। গত কয়েকদিন ধরে এলসি বন্ধ রয়েছে। ফরিদপুরের মোকামগুলোতেও পেঁয়াজের সংকট চলছে। যা আসছে তা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। ঈদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।

একই বাজারের ব্যাপারী ফরহাদ হোসেন বলেন, পেঁয়াজের গায়ের রস শুকিয়ে গেছে। এখন এটি সারা বছর ধরে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। তাই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় পেঁয়াজ মজুত করে রাখছেন। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ছে।

বড় বাজারের ব্যবসায়ী সুমন সাহা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক আছে। মোকামগুলোতে আমদানিও স্বাভাবিক আছে। তবে বাজারে ভারতীয় এলসি পেঁয়াজের আমদানি কম হওয়ায় হওয়ায় এর দাম বেড়ে গেছে। দুদিন আগে পাইকারি প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি করলেও আজ ৩২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

খুলনায় পেঁয়াজে সয়াবিন তেলের উত্তাপ

শহরের টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ, মিলন ও আবু বক্কর জানান, পাইকারি মোকামগুলোতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেখান থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এজন্য তাদেরকেও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

পেঁয়াজ কিনতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতা মাসুম রহমান, রাহেলা বেগম ও কলেজছাত্র মাজিদ তালকুদার। তারা বলেন, ‘তেলের বাজার এমনিতে গরম। তারপর আবারও পেঁয়াজের বাজারে দাম বাড়ছে। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মানুষের কী উপায় হবে? আমরাতো কারও কাছে হাতও পাততে পারবো না।’

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, বাজারদর ঠিক রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খুলনা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি পণ্যের দাম বৃদ্ধির সঠিক কারণ না বলতে পারেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলমগীর হান্নান/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।