ওলামালীগ নেতাকে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা


প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

বরিশাল মহানগর ওলামা লীগের এক সদস্যকে মারধরের পর শরীরে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে তাকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে ভর্তি ক্বারী নুর ইসলাম ফিরোজী সদর উপজেলার কর্ণকাঠী গাউছিয়া রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার পরিচালক ও মহানগর ওলামা লীগের সদস্য।

নুর ইসলাম অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত ১০টায় তিনি মাদরাসা সভাপতি মজিবর রহমানের বাসা থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। কর্ণকাঠী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের পৌঁছলে ১৫/২০ জন তার পথ রোধ করে। এরপর নুর ইসলামের হাত-পা বেঁধে ফেলে এবং তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করার পর বস্তার মধ্যে ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। এসময় পথচারীরা টের পেয়ে চর্চ লাইট মারলে দুর্বৃত্তরা নুর ইসলামকে বস্তাবন্দী অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। সকালে নুর ইসলামকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
নুর ইসলাম ফিরোজী জানান, মাদরাসার সাবেক সেক্রেটারি মজিবর রহমান অর্থ আত্মসাৎ করায় তাকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরপর থেকে তাকে হত্যার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো মজিবর রহমান।
 
বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম জানান, ঘটনাটি রহস্যপূর্ণ। কারণ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন নেই। তার পরেও নুর ইসলামকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। নুর ইসলাম তাও দিচ্ছেন না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাইফ আমীন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।