হাজার টাকা মজুরিতেও ধান কাটার শ্রমিক মিলছে না মাগুরায়
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে টানা দুদিনের বৃষ্টিতে মাগুরার মাঠে মাঠে বোরো ধানের জমিতে পানি জমে গেছে। এতে কেটে রাখা ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অতিবৃষ্টি ও শ্রমিকের অভাবে পাকা বোরো ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমি রোবো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে রবি শষ্যের ক্ষতি হওয়ায় ওই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান রোপণের দিকে ঝুঁকেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এবার জেলায় ৩৯ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।
সোনালী ধানে ভরে উঠেছিল দিগন্ত জোড়া মাঠ। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে দুদিনের বৃষ্টি, শ্রমিক না পাওয়া ও অধিক মজুরির কারণে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।
মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের কৃষক ইউসুফ মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে তার ধানক্ষেতে পানি জমে গেছে। শ্রমিকের সংকটে ধানও কাটতে পারছি না। দিনপ্রতি ৯০০-১১০০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।’
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদ জানান, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। তবে গো-খাদ্যের জন্য বিচালি করতে মাঠে কেটে রেখে দেওয়ায় কিছু ধান বৃষ্টিতে ক্ষতি হতে পারে।
এসআর/জেআইএম