শরণখোলায় লোকালয়ে বাঘ, আতংকে গ্রামবাসী
বাগেরহাটের শরণখোলায় লোকালয়ে সুন্দরবনের একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার হানা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে সুন্দরবন থেকে দুই কিলোমিটার দূরে শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের শাহিন খান নিজ ঘেরে বাঘটিকে দেখতে পান। বাঘটি ঘেরের মধ্যে শোয়া ছিল। এ ঘটনায় বনরক্ষীদের একটি দল গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা টহল দিচ্ছে।
ভোলা নদী ভরাট হওয়ার কারণে গত একমাস ধরে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।
উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন খান জানান, সুন্দরবন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে তাদের বাড়ির সংলগ্ন একটি মাছের ঘের রয়েছে। তার ছেলে শাহিন খান রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছের ঘের পাহারা দিতে যান। তিনি টর্চ লাইটের আলোতে একটি বাঘ ঘেরের মধ্যে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে ছেলের চিৎকারে তিনি এগিয়ে এলে বাঘটি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বাঘটি বনে ফিরে গেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর থেকে রাতভর গ্রামবাসী মিলে পাহারা দিয়েছেন।
বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুস সবুর জানান, খবর পেয়ে তারা কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম (ভিটিআরটি) ও এলাকাবাসীদের নিয়ে ওই গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় পাহারা দিচ্ছেন। বাঘটি লোকালয়ে পাওয়া গেলে নিরাপদে বনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
ভোলা নদী ভরাট হয়ে গ্রামের সঙ্গে মিশে যাওয়ায় প্রায়ই বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী যাতে মারা না যায় সে ব্যাপারে তারা সবসময় সতর্ক রয়েছেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শহিদুল ইসলাম হাওলাদার শুক্রবার (৬ মে) দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, গতরাতের ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থল ও এর আশপাশ এলাকায় বন বিভাগ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে এখনো বাঘটির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মাটি শুকনা হওয়ায় বাঘের পায়ের চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
এসআর/এমএস